,

আজকের ছবিটা তুলে রাখুন, ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে

Posted by

জাতীয়: অর্থ পাচারের মামলায় ড. ইউনূস ছাড়া অন্য সাত অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, পারভীন মাহমুদ, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

আব্দুল্লাহ আল মামুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দুদকের মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি (ড. ইউনূস)। এরপরের তারিখেও (২ এপ্রিল) এ মামলায় তাকে হাজির হতে হবে।’

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ৩০ মে ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ১২ জনের নামে মামলা করে দুদক। গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার আগে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. ইউনূসহ চারজন। তারা জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেন।

পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী শুনানি হয় এ ট্রাইব্যুনালে। অধ্যাপক ইউনূসসহ চারজনই এজলাসে একই বেঞ্চে বসে শুনানি শোনেন। তাদের পেছনের দুই সারিতে বিদেশি কূটনীতিকরা বসে মামলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এমএ আউয়াল। জামিনে থাকা অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। আদালত এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছে।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলার বাদী কল-কারাখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। পরে ২৮ জানুয়ারি এ রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করে ওইদিন জামিন নেন তিনি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি আশা করব, দেশের বিচারব্যবস্থা থেকে ন্যায়বিচার পাব। এটাই তো একজন নাগরিকের ইচ্ছা। আমি এটাই আশা করছি।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা চলছে। এসব মামলা স্থগিত ও ‘বিচারিক হয়রানি’ বন্ধ চেয়ে আন্তর্জাতিক মহল আহ্বান জানিয়ে আসছিল। অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে কি না তা দেখতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার আহ্বানও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশে আসতে নোবেল বিজয়ীসহ ২৪২ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব খোলা চিঠিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে ড. ইউনূসের আইনজীবীরা বলেছিলেন, তাদের আসার ব্যাপারটা সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করে।

Tags