কাঁদতে কাঁদতে থানায় কিশোরী, পুলিশকে জানালো ধর্ষণের কথা

Posted by

দেশজুড়ে: বাড়ির মালিক নিয়মিত কিশোরী গৃহকৃর্মীকে ধর্ষণ করে। নিজের মাকে বলেও এর বিচার না পেয়ে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে থানায় গেল। জানাল তার অভিযোগ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তড়িৎগতিতে পুলিশও ব্যবস্থা নিল।

অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করলো মৌলভিবাজার জেলার জুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান ওরফে রানু (৬০), কিশোরীর মা (৪০) ও উপজেলার এক বাসিন্দা শফিকুল ইসলামকে (৪০)।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা বেঁচে নেই। আটক শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামানের পূর্বপরিচিত।

তার (শফিকুল) সহযোগিতায় কিশোরীর মা প্রায় তিন মাস আগে শামসুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যান। বাসায় শামসুজ্জামান একা থাকেন। তার দুই স্ত্রীর একজন সিলেট নগরে এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।

এ দিকে বাসার মালিকের পরামর্শে কিশোরীর মা কাজে সহযোগিতার জন্য মাসখানেক আগে মেয়েকে সেখানে নিয়ে যান। এ সময় মালিক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। কিশোরী তার মাকে ঘটনাটি জানালেও মা চুপ থাকেন।

এরপর ওই বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র কাজে চলে যায় কিশোরী। শামসুজ্জামান পরে শফিকুলের সহযোগিতায় আবারও কিশোরীকে খুঁজে বের করে আনেন। বাসায় যাওয়ার পর কিশোরীর ওপর আর নির্যাতন চালানো হবে না বলে মালিক কথা দেন।

কিন্তু গত ১ মার্চ আবারও তিনি কিশোরীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরী বাসা থেকে আবারও পালায়। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে সে একা জুড়ী থানায় গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওসিকে ঘটনাটি জানায়।

জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর মা যৌন নির্যাতনে সহায়তার কথা স্বীকার করেছেন। অভাব-অনটনের কারণে টাকার লোভে তিনি এ রকম করেছেন বলে জানান। তবে শামসুজ্জামান অপরাধ অস্বীকার করেছেন। তিন আসামিকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এসআই সিরাজুল।

Tags