, , ,

গাজীপুরে ক্লিনিকের ভবন স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহারের অনুমতি নেই

Posted by

কালীগঞ্জ টিভি ডেস্ক: গাজীপুরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবনগুলোর স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যবহারের অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছে গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)। অননুমোদিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেআইনি লাইসেন্স প্রত্যাহার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি করেছে সংগঠনটি।

গাজীপুরে ক্লিনিকের ভবন স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহারের অনুমতি নেই

সোমবার (১ জুলাই) গাজীপুর মহানগরীর নাওভাঙ্গা গাপার অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনটির নেতারা জানান, গাজীপুরে ২৮৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ১৭৪টি হাসপাতাল/ক্লিনিকসহ মোট ৪৬৪টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন রয়েছে। এদের মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ২৬৬টির। আর ১৯৮টির লাইসেন্স নেই। এছাড়াও জেলায় নিবন্ধনহীন বেশ কিছু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠানের ভবনের স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনার অনুমোদন নেই।

নেতারা আরও জানান, ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গাজীপুর অঞ্চল’ তথা ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র কাছ থেকে গাপা অনুমোদনের তথ্য চায়। পরে তারা লিখিত বক্তব্যে জানায় গাজীপুরে চলমান বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহৃত কোনো ভবনের ‘ব্যবহারের অনুমোদন’ নেই।

গাপার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী গাজীপুরে পরিচালিত প্রায় শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেই উৎপাদিত চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিধি মোতাবেক ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) এবং এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) নেই। যে সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ভবনের অকুপেন্সি সনদ বা ব্যবহার অনুমোদন নেই এবং চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিধি মোতাবেক ইটিপি ও এসটিপি নেই, সেই সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেআইনিভাবে যথাক্রমে ফায়ার লাইসেন্স, অবস্থানগত-পরিবেশগত ছাড়পত্র, স্বাস্থ্যসেবা লাইসেন্স দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা ভবন হিসেবে গড়ে ওঠেনি এবং ব্যবহারের অনুমোদন নেই, রোগীদের সেবা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত আবাসন নেই, চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাপার সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মুছাদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন সবুজ, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুবেল, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক, শামসুল হক, মো. হাসান আলীসহ প্রমুখ।

কালীগঞ্জের সন্তান কবি আসাদ বিন হাফিজ না ফেরার দেশে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Tags