দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সুখের কারখানায়’ আসলে কী হয়

Posted by

কেটিভি নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন একটি কারখানা তৈরি হয়েছে যেটির নাম সুখের কারখানা বা ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’। অর্থাৎ এখানে সুখ উৎপাদন এবং বণ্টনের ব্যবস্থা রয়েছে! কিন্তু এখানে থাকতে হলে কোনো ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারের অনুমতি নেই। যারা ভেতরে ঢোকেন তাদেরকে কয়েদিদের মতো নীল পোশাক পরে থাকতে হয়। ঘরগুলোও একেবারেই ছোট।

দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সুখের কারখানায়’ আসলে কী হয়

এই সুখের কারখানা চালু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিভাবদের জন্য। যেসব অভিভাবক সুখের কারখানায় আসেন তারা একা সময় কাটান। মোট ১৩ সপ্তাহ তাদের এই ঘরে থাকতে হয়। এই সময়ে তারা সন্তানদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগের উপায়গুলো আয়ত্ব করেন। ইয়ুথ ফাউন্ডেশন ও ব্লু হোয়েল রিকভারি সেন্টার এসব অভিভাবকদের সন্তানদের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগের কৌশলগুলো শেখায়।

প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে এক অভিভাবক জিন ইয়ং-হে (ছদ্মনাম) বলেন, তার ছেলে তিন বছর নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। জিন ইয়ং এই সুখি কারখানার নির্জন কক্ষে থাকার পর ছেলের মানসিক এবং সামাজিক অবস্থা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সম্পর্কের সমস্যা, বেকারত্ব, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তরুণরা নিজেদেরেকে গুটিয়ে রাখছে।

এই তরুণদের আত্মহত্যার হারও বেশি। এর পেছনে দায়ী কারণগুলো হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জনের চাপ, দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের স্বল্পতা।

এসব তরুণদের বাবা মায়েরা সুখি কারখানায় এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যাতে সন্তানদের সঙ্গে তারা সঠিক আচরণ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Tags