, , , , ,

পিকনিকের নৌকায় হামলায় হত্যা, মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার

Posted by

কেটিভি নিউজ ডেস্ক: নৌকা ভ্রমনে সাউন্ড বক্স নেয়ার কথা বলে না নেওয়ায় ক্ষোভে ভ্রমন থেকে ফিরলে কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা (ক্ষিরু নদী) এলাকায় ওই ট্রলারে হামলা করে আসামীরা। তাদের হামলা ও মারধরে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান (৩০) ক্ষিরু নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

শ্রীপুরে সাউন্ড বক্স না নেওয়ায় ভ্রমণ ফেরত ট্রলারে হামলা, গ্রেফতার ৩

পরদিন লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার (০৩ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহতের বাবা সোনাব গ্রামের রুহুল আমিন আটজনকে আসামী করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ট্রলারে হামলা ও হত্যার ঘটনায় গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (০৫ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতবার (০৫ জুলাই) দিবাগত রাতে শ্রীপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাব গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সবুজ (২৮), কাওরাইদ (পশ্চিমপাড়া) এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মাসুম (২৯) এবং কাওরাইদ (হিন্দু পাড়া) এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম মীর (৪৫)। তদন্তে ঘটনায় জড়িত থাকায় প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ জুলাই) গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আসামী সবুজ হমালা ও মারধরে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মাজহারুল ইসলাম (২৭), পূর্ব সোনাব গ্রামের জামাল ফকিরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮), কাওরাইদ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২৫), স্বপন মিয়ার ছেলে হামিদুল ইসলাম (২৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে রিফাত হোসেন (২৫), জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৬), মজনু মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া (২৫) এবং হৃদয় (২৪)।

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম মোল্লা জানান, গ্রেফতার আসামীদের কাছ থেকে নৌকা ভাড়া করার জন্য বায়না করে ব্যবসায়ীরা। পরে তাদের কাছ থেকে নৌকা না নিলে আসামী খায়রুল ইসলাম মীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করে। ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে একজন ফোনে খায়রুলকে বলে আমাদের কাছ থেকে যে ২০ হাজার টাকা নিয়েছো সেটা ফেরত দিয়ে দিও। এ বিষয়টি খায়রুল ফোন করে তার সহযোগী অপর আসামী সাইফুলকে বলে তাদের সাথে থাকা চার নৃত্য শিল্পীকে রেখে দে।

পরে গ্রেফতার তিনজনসহ তাদের আরো ১০/১২জন সহযোগী অন্য ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে লোহার রড, কাঠের ব্যাট, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে ভ্রমন থেকে ফিরে আসা ব্যবসায়ীদের নৌকায় ধাওয়া করে। রাত ৮টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা (ক্ষিরু নদী) এলাকায় পৌছলে তারা অতর্কিতে নৌকায় হামলা করে। তাদের হামলা ও মারধরে ২০-২৫ জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পায়। আমন্ত্রীত নৃত্য শিল্পীরাও যে যার মতো পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের ভয়ে ট্রলার যাত্রী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান নদীতে ঝাঁপ দিলেও সে উঠতে না পেরে নিখোঁজ হয়।

প্রসঙ্গত, রবিবার (৩০ জুন) কাওরাইদের ৩০-৩৫ জন ব্যবসায়ী ট্রলারযোগে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ শেষে ফিরলে আসামীরা শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় ক্ষিরু নদীতে ব্যবসায়ীদের ট্রলারে হামলা করে আসামীরা। তাদের হামলায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান (৩০) ক্ষিরু নদীতে পড়ে গিয়ে নিহত হয়। পরদিন সোমবার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় বটতলা এলাকায় নদী থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সে কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাব গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

বাড়ির আঙিনায় আলুবোখারা চাষে সফলতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Tags