ফাঁকি দেওয়া শাফিনের অভ্যাসের মধ্যে ঢোকে নাই

Posted by

কেটিভি বিনোদন ডেস্ক: মাত্র নয় বছর বয়স থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গান গাওয়া শুরু করেন শাফিন আহমেদ। এরপর আর থেমে যাননি। ২৫ জুলাই চিরতরে থেমে গেলো শাফিন আহমেদের কণ্ঠস্বর। গিটারে আর আঙুল ছোঁয়াবেন না তিনি। গানকে মনে করতেন পবিত্র জিনিস। শাফিন আহমেদ বলতেন, ‘মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরফর্ম করি। দুই ঘণ্টা মঞ্চে থাকলে গলা চলে, নয়তো হাত চলে। কোনো কিছু ফাঁকি দেওয়া অভ্যাসের মধ্যে ঢোকে নাই।’

ফাঁকি দেওয়া শাফিনের অভ্যাসের মধ্যে ঢোকে নাই

বাবা কিংবদন্তী সুরকার কমল দাসগুপ্ত এবং মা নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম। তারপরেও ব্যক্তিগত জীবনচর্চা থেকে এই শিল্পী নিজেকে দূরে রাখতেন।

একটি সাক্ষাতকারে শাফিন আহমেদ বলেন, ‘আমিতো বহু বছর নিজের জীবনটাকে আড়ালে রেখেছিলাম। শুধুমাত্র সঙ্গীতজগতটাই মানুষের নলেজে ছিল। সঙ্গীত জীবনের পঞ্চাশ বছর চলে যাওয়ার পরে, এই পর্যায়ে এসে মনে হলো নিজের জীবনটা তুলে ধরার সবচেয়ে ভালো সময় এখন। সবার জীবন এক রকম হয় না। আমার জীবনে অনেক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। অনেক কিছুই না বলা রয়ে গেছে। আত্মজীবনীতেই সব যে বলেছি তা নয়।’

শাফিন আহমেদ একটি সাক্ষাতকারে বলেন, তার গানের যাত্রা শুরু হয়েছিল নয় বছর বয়সে। তারপর থেকেই সিরিয়াসলি গানের সঙ্গেই থেকেছেন। গেয়েছেন বাবার সুর করা গানও।

১৯৮২ সাল পর্যন্ত হোটেলে গান গাইতেন শাফিন আহমেদ। বিটিভির পক্ষে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হয় যে, ত্রিশ মিনিটের একটা ইন্সট্রুমেন্টাল শো করবেন। ছয়টি গান রেকর্ড করে বিটিভিতে পাঠায় মাইলস।

শাফিন আহমেদ এই বিষয়ে বলেছিলেন, ‘এই প্রথম মানুষ আমাদেরকে দেখলো একটু ডেয়ারিং ছিলাম, বোল্ড ছিলাম। এরপর বিটিভির সিগনেচার মিউজিক হিসেবে ভোর ৬টা থকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মাইলস-এর সুর দুই বছর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর জন্য কোনো রয়্যালিটি দেওয়া হয়নি।’

মাইলসের বেনিফিট কেউ নিলে ফেয়ার হবে না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Tags