প্রবাসীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Posted by

হেড লাইন: প্রবাসীদের জন্য যেন মৃত্যুফাঁদ দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে গত ৫ বছরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে প্রায় ৪শ’ বাংলাদেশি। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক। প্রায় প্রতিদিনই হামলা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে ১১ বছর ব্যবসা করেছেন টাঙ্গাইলের জন সিদ্দিক। একাধিকবার লুটপাটের শিকার হয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরেছেন দেশে। তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই ১১ বছরে আমার দোকানে কয়েকবার হামলা হয়েছে। তবে সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করায় হয়তো তারা আমাকে মেরে ফেলেনি। তবে মারধর করেছে, মাথা ফাটিয়া ফেলছে কয়েকবার। সবার দোয়া ছিলো তাই ফিরে আসছি।

দুই দশক ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্যবসা করেন নোয়াখালীর মোস্তাফিজুর রহমান। বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, ওখানে সবসময় আমরা চিন্তা করি কখন জানি বিপদ আসে। প্রবাসীদের অভিযোগ, আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের হামলায় যোগসাজশ আছে কিছু বাংলাদেশির। যা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেই দূতাবাসের।

জন সিদ্দিক বলেন, চীনের একজন লোক খুন হয়েছিল। এরপরে ওদের দেশ থেকে প্রায় এক বিমান মন্ত্রী-মিনিস্টার এসে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এ ঘটনায় ক্ষমা চায়। এদিকে রাস্তার কুকুর মারা গেলে যেমন কেউ দাম দেয় না, আমাদের বাংলাদেশিদের অবস্থাও তেমন। আমরা মরে গেলে সরকারের কোন কিছু যায় আসে না। আর দূতাবাসের কথা আর কি বলবো, গত ১১ বছরে আমি মাত্র ৩বার দূতাবাসে গিয়েছি তাও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে। এছাড়া দূতাবাসের কোনো ভূমিকা নেই। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে দরকার বাংলাদেশ সরকারের স্বদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ। তথ্য বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ লাখ বাংলাদেশির মধ্যে বেশিরভাগই ব্যবসায়ী। যার মধ্যে প্রতি বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন অন্তত ৭০ জন।

Tags