দেশজুড়ে: কানাডা প্রবাসী বোন দেশে এসেছেন। তাই ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জারিন তাসনীম প্রিয়তি (২০)। বৃহস্পতিবার রাতে বোন-ভাগনির সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়। শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তার। প্রিয়তি বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে!
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে নিহত হন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আইনজীবী আওলাদ হোসেন খানের ছোট মেয়ে প্রিয়তি। তিনি মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্সের ছাত্রী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন প্রিয়তির বড় বোন কানাডা প্রবাসী তাসনোভা খান সুহা ও তার আট বছর বয়সী মেয়ে সায়েবা।
ভাই সাজিদ খান পিয়াল জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি কানাডা থেকে দেশে ফেরেন তার বড় বোন সুহা। অসুস্থ বাবাকে দেখতে বড় বোনকে নিয়ে শুক্রবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা ছিল প্রিয়তির। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে তারা চারজন রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েন।
গতকাল দুপুরে প্রিয়তির মরদেহ নেওয়া হয় বাড়িতে। এ সময় আহাজারি ও কান্না ভেঙে পড়েন স্বজনরা। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা বড় বোন সুহা জানান, আগুন লাগার পর তিনি ও তার মেয়েসহ সঙ্গে থাকা আরেকজন ওপরের তলায় উঠে যান। তবে দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েন প্রিয়তি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে। কিন্তু প্রিয়তি নিখোঁজ ছিলেন; পরে ঢামেক মর্গে তার লাশ শনাক্ত করা হয়।